www.foyez.page.tl
   
 
  Career Tips
1. স্মার্ট পেশা: সেলস এক্সিকিউটিভ:

ব্যবসা পরিচালনার জন্য সেলস এক্সিকিউটিভ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। এ পদে যারা কাজ করেন, তারা ভোক্তার সাথে বিক্রেতা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক-স্থাপন করেন।

তাদের মাধ্যমেই ক্রেতারা ভোগ্যপণ্যের সাথে পরিচিত হন। বর্তমানে তরুণ-তরুণী সকলেই স্বতঃস্ফুর্তভাবে এ পেশায় আসছেন। দেশের ছোট বড় কোম্পানি, জুয়েলারি, কসমেটিকস, ফ্যাশন হাউস, ওষুধ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সেলস এক্সিকিউটিভরা মর্যাদার সাথে চাকরি করছেন।

লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেকে আত্মনির্ভরশীল করতেও শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা পার্টটাইম জব হিসেবে এ পদকে বেছে নিচ্ছেন।

 

4.নিজেকে শুনুন রেডিওতে:

চমৎকার একটি বিকেল। কিন্তু অয়নের মনটা ভার। পড়ার টেবিলে বসে আছে সে। চোখ বইয়ের পাতায়। কিন্তু মনটা অন্য কোথাও। আজ তার স্কুলের বন্ধুরা সবাই মিলে বাংলাদেশ বেতারের অফিসে গিয়েছে। টিনএজদের অংশগ্রহণে এই অনুষ্ঠানটিতে উপস্থাপক হবার কথা অয়নের। কারণ সুন্দর করে কথা বলতে পারে অয়ন- তা সবাই জানে। সবই ঠিকঠাক। বাধ সাধলেন মা।
‘এসব’ করলে নাকি পড়াশোনা ‘তালগাছে’ উঠে যায়। কিছুতেই মা অয়নকে যেতে দিলেন না। শুধু তাই নয় পুরোটা বিকেল জুড়ে মা বসেছিলেন অয়নের সামনে, চোখ রাঙিয়ে। অয়নের মনটা কেঁদে উঠল। কাতর চোখে মায়ের দিকে তাকাল। তার চোখ যেন বলছে, মা আমি পড়াশোনায় একটুও অমনোযোগী হব না। বিশ্বাস করো। আমাকে যেতে দাও।

এই সময়:

অ্যাই তুষার। আজ না তোর ইন্টারভিউ। ওঠ, ওঠঃ মা, তুষারকে ঠেলে উঠিয়ে দিল ঘুম থেকে। তুষার মাত্র ভর্তি হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিছুদিন আগে একটি বেসরকারি রেডিও স্টেশনে একটি জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়ে আসে। এর মাঝে ইন্টারভিউ-এর জন্য ফোন আসে তার।

মা তো ভীষণ খুশি। তার ছেলের কণ্ঠ শোনা যাবে রেডিওতে, ভাবতেই মনটা ভরে যাচ্ছে তার। তুষারের মা সব সময় চেয়েছেন তার সন্তানরা পড়ালেখার পাশাপাশি সংস্কৃতির চর্চা করুক। তাই আজ তুষারের চাইতে মা অনেক বেশি আগ্রহী তার সন্তানকে পরিপাটি করে তৈরি করিয়ে দেয়ার জন্য।

সেই সময় আর এই সময়ের মধ্যে এই ধরনের পার্থক্য মোটামুটি সবার জানা। এইতো বছর দশেক আগেও হয়তো বাবা-মা স্বপ্ন দেখতেন ছেলে-মেয়ে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার, আর্মি অফিসার বা শিক্ষক বানাবার। খুব বেশি ব্যতিক্রম হলে ভাবতেন সন্তানদের পাইলট করার স্বপ্ন দেখতেন।

কিন্তু আজ যুগ বদলেছে, দিন পাল্টে গেছে, সময়ের হাত ধরে প্রজন্মের গতি বেড়েছে কয়েকগুণ। আজকাল বাবা-মায়েরা চান যান্ত্রিক জীবন নয়, ছেলেমেয়ে বেছে নিক স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবন। তাই বর্তমানে বাবা-মায়েরা চান ছেলেমেয়েরা ক্যারিয়ার গড়ুক সেইখানে, যেখানে সে পাবে পরিচিত, সম্মান, সম্মানী, সবাই।

ক্রমপ্রসারিত এন্টারটেইনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যারিয়ার গড়ার পেছনে তাই বাবা-মার উৎসাহ থাকে অনেক বেশি। আর বর্তমানে রেডিওর যুগ ফিরে আসায় বাবা-মা তো বটেই, তরুণ প্রজন্মের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে রেডিওনির্ভর ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন।

রেডিওতে ক্যারিয়ার

অনেকেই ভাবেন, রেডিওতো শুধু সারাদিন বকবক শোনার মেশিন। এর মাধ্যমে ক্যারিয়ার! অনেকেই হয়তো জানেন না রেডিওকে ঘিরে হতে পারে ক্যারিয়ারের চমৎকার প্লাটফর্ম। একটি রেডিও স্টেশন চালাতে প্রয়োজন আরজে, প্রোগ্রাম প্রডিউসার, অফিস এক্সিকিউটিভ, প্রোগ্রাম প্ল্যানার, টেকনিশিয়ান, কম্পিউটার এক্সপার্ট, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিউজ রিপোর্টার, নিউজ প্রেজেন্টার, আউট ব্রডকাস্টারসহ নানা সহায়ক ব্যক্তি বা কর্মীবাহিনী। আসুন তরুণদল জেনে নেই বিভিন্নভাবে রেডিওতে ক্যারিয়ার গড়ার পন্থা।

আরজে বা রেডিও জকি

তরুণদের জন্য এখন রেডিও জকি বা আরজে হওয়া ক্রেইজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেডিও টুডের রাত বারোটার শো রাতভর গান-এ নীরবের কণ্ঠ বা রেডিও ফুর্তির সকালের আয়োজন ‘হ্যালো ঢাকা’য় আরজে অপুর কণ্ঠস্বর শুনে শুনে নিজের কণ্ঠস্বর শোনার জন্য অনেক তরুণ-তরুণী ব্যাকুল এখন।

আরজে হবার জন্য চাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কথা বলতে পারার গুণ। কথার পিঠে কথা সাজিয়ে বলাই এখানকার শিল্প। এই শিল্পকে যে ফোটাতে পারবে সেই হতে পারবে খ্যাতনামা আরজে। সেই সাথে চাই সুন্দর বাচনভঙ্গি। কথা বলায় স্বতঃস্ফূর্তভাব আনার জন্য আপনি আবৃত্তি কর্মশালা, বিতর্ক চর্চা করতে পারেন।

কিন্তু সবচেয়ে ভালো হয় যদি বন্ধুদের সাথে চুটিয়ে আড্ডা দিতে পারেন। কারণ জকিরা তো একধরনের আড্ডাই দেন শ্রোতাদের সাথে। তারপর দৃঢ়চেতনার সাথে আপনি চলে যান যেকোনো রেডিও স্টেশনে জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে।

আউট ব্রড কাস্টার বা ওবি

তরুণরা এখন আরজে হবার পাশাপাশি আউট ব্রডকাস্টার হিসেবে কাজ করতে পারেন। আউট ব্রড কাস্টাররা আসলে রিপোর্টারেরই অন্য একটি রূপ। বিভিন্ন প্রোগ্রামে সরাসরি উপস্থিত হয়ে মোবাইলের মাধ্যমে স্টুডিওতে খবর পাঠায় তারা। এছাড়া ওবিরা ট্রাফিক আপডেট থেকে শুরু করে বাজারদরটিও জানিয়ে দেয় শ্রোতাদের। তাই একটু চটপটে ভাব আছে যাদের তারা নির্দ্বিধায় ওবি হিসেবে কাজ করতে পারেন। এজন্য চাই সেই স্বতঃস্ফূর্তভাব।

নিউজ রিপোর্টার

যখন পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ নেই অথবা স্যাটেলাইটের কানেকশন নেই তখন আপনি হয়তো হতাশ হতে পারেন। এখন সেই হতাশা কাটিয়ে দেয় রেডিওর সংবাদ। রেডিওর সংবাদের প্রাণ হয়ে আছে তরুণ কিছু সাংবাদিক। আপনার যদি মনে সেই আগুন থাকে তবে আপনি হতে পারেন রেডিওর রিপোর্টার।

সেজন্য যে সাংবাদিকতাতেই পড়তে হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনার বিবেক থাকে, খবরকে বিশ্লেষণ করার বুদ্ধি থাকে তবে নির্দ্বিধায় বেছে নিতে পারেন এই পেশা। আর জানেন তো ছুরিতে যত শান দিবেন তা ততই তীক্ষন হয়। তাই নিজেকে বুঝে লেগে পড়ুন সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে গড়ার কাজে।

প্রডিউসার

আপনার চিন্তা করার শক্তি কেমন? আপনি কী ভবিষ্যৎকে দেখতে পান? আপনি কী জানেন শ্রোতারা কী চায়? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর হ্যাঁ হয় তবে আপনি হতে পারবেন রেডিওর তরুণ প্রডিউসার। উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তি, নতুন নতুন পরিকল্পনা, প্রোগ্রাম তৈরির দৃঢ় প্রত্যয় থাকলে আজই আপনার সম্পূর্ণ বায়োডাটা নিয়ে পৌঁছে যান রেডিও স্টেশনগুলোতে। ইন্টারভিউ বোর্ডে নিজেকে প্রমাণ করুন সৃজনশীল মনোভাব দিয়ে।

রেডিওতে চাই সৃজনশীলতা

আপনি তরুণ, ক্যারিয়ার গড়তে চান রেডিও সেক্টরে। এজন্য আপনাকে হতে হবে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত ও সৃজনশীল। কারণ রেডিও এন্টারটেইনমেন্ট মিডিয়ারই একটি অংশ যেখানে সৃজনশীলতার বিকল্প নেই। তাই নিজে নিজে কথা বলে, চারপাশে অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে দেখুন আপনি কতটুকু সৃজনশীল। এখানে ক্যারিয়ার গড়তে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে নিজেকে গড়তে থাকুন। জয় আপনার হবেই।

2.টেলিকমিউনিকেশন:



বর্তমানে সম্ভাবনাময় পেশাগুলো মধ্যে কম্পিউটার সেক্টর বা আইটি অন্যতম। তবে টেলিকমিউনিকেশন ও কম নয়। পুরো পৃথিবীটাকে এখন বলা হচ্ছে একটি গ্লোবাল ভিলেজ, যুগটাকে বলা হচ্ছে গ্লোবালাইজেশনের যুগ। গ্লোবালাইজেশন থিমটার মূলধারক হাইটেক কমিউনিকেশন। টেলিকমিউনিকেশনই এই ধারকের মূল ধারা।

তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে তথ্যের অবাধ প্রবাহ প্রসারিত হয়েছে সমগ্র বিশ্বব্যাপী। এই যে ইন্টারনেট, হোম সলিউশন, মাল্টিমিডিয়া মেসেজ সেন্ডিং অপশনের কথা বলা হলো- এসবই হচ্ছে টেলিকমিউনিকেশন নামে একটি টোটাল মিডিয়ার আওতাভুক্ত।

টেলিকমিউনিকেশন মানে শুধু ফোনালাপ নয়। ডাটা কমিউনিকেশন, ভয়েস কমিউনিকেশন, কর্পোরেট ডাটা, বিজনেস ডাটা, ইন্টারনেট, মাল্টিমিডিয়া ভিডিও স্ট্রিম এই সবকিছুইকে সমন্বিত করে যে টোটাল মিডিয়া তাই টেলিকমিউনিকেশন।

আরো সহজ ভাষায় টেলিকমিউনিকেশন হচ্ছে তথ্যের আদান-প্রদান। আর এই তথ্য যেকোনো রূপেই থাকতে পারে। যেমন- ভয়েস ডেটা, ভিডিও, মিউজিক ইত্যাদি।

চাকরির ক্ষেত্রে

বাংলাদেশে বর্তমানে যে কটি সম্ভাবনাময় শিল্প রয়েছে টেলিকমিউনিকেশন তার মধ্যে অন্যতম। গ্রামীণফোনের হেড অব মার্কেটিং রুবাবাদৌলা মতিন জানালেন, আগামী দিনগুলোতে সবকিছুই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠবে। তাই এ বিষয়ে নিশ্চিন্তে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

তিনি আরো জানান, ব্যাংকিং বীমাখাত শিক্ষাখাত এমনকি হসপিটাল ম্যানেজমেন্টেও বিস্তৃত হবে এ শিল্প। সুতরাং কাজের ক্ষেত্রটা হবে বিশাল। অ্যাপলায়েড ফিজিক্স, ফিজিক্স ম্যাথ, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা সমমানের যে কোনো বিষয় থেকে অনার্স গ্রাজুয়েশনের পর টেলিকমিউনিকেশনে মাস্টার্স করলে টেলিকম কোম্পানিগুলোতে লুক্সেটিভ জব অফার পেতে পারেন আপনিও।

অনার্স সম্পন্নকারীরা ৬-১২ মাসের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বা নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত এডভান্স ট্রেনিং গ্রহণের মাধ্যমেও এই শিল্পে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন। সুতরাং পড়ুন টেলিকমিউনিকেশন এবং প্রবেশ করুন কর্মসংস্থানের এই বিশাল রাজ্যে। এ বিষয়টিতে পড়ে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায়ও কাজ করা যায়।

কোথায় পড়াশোনা করবেন

বাংলাদেশের পাবলিক বা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিগুলোতে এখন পর্যন্ত শুধু টেলিকমিউনিকেশন ভিত্তিক কোনো কোর্স চালু হয়নি। তবে দিনাজপুরের হাজী মুহম্মদ দানেশ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটিতে টেলিকমিউনিকেশনের এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নামে ৪ বছরের অনার্স কোর্স করানো হচ্ছে। এছাড়া বুয়েটে পার্শিয়াল একটি কোর্স হিসেবে এটি পড়ানো হয়ে থাকে।

পরে এ বিষয়ের ওপর মাস্টার্স করা যায়। এছাড়া বর্তমানে দেশের কিছু কিছু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে এ বিষয়ের ওপর গ্র্যাজুয়েট বা মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে, যার মধ্যে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ইত্যাদির নাম উল্লেখযোগ্য।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স কমিউনিকেশন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, ফিজিক্স এপলায়েড ফিজিক্স থাকলে এ বিষয়ে মাস্টার্স করা যাবে। এসব ইউনিভার্সিটিতে বছরের বিভিন্ন সময়ে শুরু হওয়া বিভিন্ন সেমিস্টারে ভর্তি প্রক্রিয়া চলে।



5.ক্যারিয়ার গড়ুন কল সেন্টারে:

বর্তমানে আমাদের দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে কল সেন্টারে ক্যারিয়ার গড়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই স্মার্ট ও চ্যালেঞ্জিং পেশা হিসেবে বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানি যেমন- গ্রামীণ, একটেল, সিটিসেল, বাংলালিংক, টেলিটক, ওয়ারিদ ইত্যাদির কল সেন্টারের কাজকে বেছে নিচ্ছেন।
 

তাছাড়া বাংলাদেশে অন্যান্য আউটসোর্সিংয়ের চেয়ে কল সেন্টারের ক্যারিয়ার সম্ভাবনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আশা করা হচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই কল সেন্টার হবে বাংলাদেশের অন্যতম রফতানি খাত। আর এর মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক বেকার যুবকের অনায়াসে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই কল সেন্টারের ক্যারিয়ার নিয়ে তরুণ কণ্ঠের বন্ধুদের জন্য এই আয়োজন।

কল সেন্টার কী

কল সেন্টার ধারণাটি অনেকের কাছে পরিষ্কার নয়। কেউ কেউ মনে করেন এটা মোবাইল কোম্পানিতে চাকরি বা ফোন কল রিসিভ করা জাতীয় কিছু। এর বেশি কিছু নয়। কিন্তু আসল বাস্তবতা হচ্ছে, সবসময়ই চায় তাদের কাস্টমার সার্ভিস ২৪ ঘণ্টা চালু থাকুক।
এজন্য তারা নির্ভর করে কল সেন্টারের ওপর। আন্তর্জাতিক কোনো কায়েন্টকে তারা কল সেন্টারের মাধ্যমে যুক্ত করতে চায় তাদের সার্ভিস নেটওয়ার্কে। যার পুরোটাই প্রায় নির্ভর করে কল সেন্টারের ওপর।

কল সেন্টারের কাজ কী

একজন গ্রাহক কোনো ব্যাংকে বা কোম্পানিতে সরাসরি এসে তার সমস্যা বা কাজ সমাধান করতে পারেন। আবার সে নিজে না এসে ফোনে কল সেন্টারের মাধ্যমেও কাজটি সারতে পারেন। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি কোনো কোম্পানি সম্পর্কে বা ওই কোম্পানির পণ্য, সার্ভিস ইত্যাদি সম্পর্কে বা সে যদি ওই কোম্পানির কোনো কাস্টমার, ডিলার প্রভৃতি হয়ে থাকেন তাহলে তিনি যাবতীয় তথ্য বা যেকোনো সমস্যার সমাধান ইত্যাদি জানতে পারেন ওই প্রতিষ্ঠানের কল সেন্টারে ফোন করে। কলসেন্টারে একজন এজেন্ট হচ্ছে সেই, যে ব্যক্তি সকল প্রকার ইনকামিং ও আউটগোয়িং কল হ্যান্ডলিং করে।

কল সেন্টারে কারা কাজ করতে পারব

এই কল সেন্টার শিল্পে আসতে হলে শুধু যে আইটি দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে তা নয়। বরং এখানে আইটি দক্ষতা সম্পন্ন জনশক্তির পাশাপাশি উন্মুক্ত রয়েছে সকল শ্রেণীর শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ন্যূনতম অনার্স পর্যায়ে পড়াশোনা করছে এমন ছাত্র-ছাত্রী এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের শিক্ষিত যেকোনো বিষয়েই স্নাতক পাস হলে কলসেন্টারে কাজের জন্য আবেদন করতে পারে। তাই কল সেন্টার হতে পারে শিক্ষিত তারুণ্যের স্মার্ট ও চ্যালেঞ্জিং পেশা। কারণ এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের পার্টটাইম কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

কল সেন্টারের কাজের ধরন ও পারিশ্রমিক

কল সেন্টারে দু’ধরনের কাজ হয়। একটা হলো ‘ইনকলিং সার্ভিস’ বা ‘ইনবাউন্ড’ আর একটা ‘আউটকলিং সার্ভিস’ বা ‘আউটবাউন্ড’। ইনবাউন্ড হচ্ছে পুরোটাই কাস্টমার সার্ভিস আর আউটবাউন্ড কিছুটা টেলিমার্কেটিংয়ের মতো অর্থাৎ কলসেন্টার থেকে স্ব-উদ্যোগে ফোন করে কিংবা ই-মেইল/এসএমএসয়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে নানা তথ্য পৌঁছে দেয়া।

কল সেন্টারে কাজের পারিশ্রমিক কোম্পানিভেদে আলাদা হলেও বাংলাদেশে ৮ ঘণ্টা ফুলটাইম ডিউটির জন্য ন্যূনতম ১২ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা আর ৪ ঘণ্টা পার্টটাইম ডিউটির জন্য ন্যূনতম ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা হয়। তবে কল সেন্টারে আপনার কাজ যাই হোক না কেন সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এ পেশায় আপনি পাবেন ইন্টারন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট ও ফাইভ ফিগার স্যালারির নিশ্চয়তা।

কল সেন্টারে কাজ করার ভবিষ্যৎ

কল সেন্টারে আপনার দক্ষতার ওপর নির্ভর করবে আপনার ভবিষ্যৎ। আপনি চাইলে কল সেন্টারের অভিজ্ঞতার বলে বিদেশে লিংক করে যেকোনো একটি বিদেশী কোম্পানিতেও চলে যেতে পারেন হাই স্যালারিতে।

কল সেন্টার ট্রেনিং

একটি আন্তর্জাতিক বা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির কল সেন্টারে কর্মরত বাংলাভাষাভাষীদের ইংরেজিতে বিদেশীদের সাথে টেলিফোনে কথা বলতে হবে। বাস্তবে কল সেন্টারে কাজ করতে হলে দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই।

কারণ টেলিফোন কোনো কায়েন্টকে মোটিভেট করা ও তার মানসিকতার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়া সহজ কোনো কাজ নয়। তাই কল সেন্টারে কাজ করতে চাইলে আগেই যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে যোগ্য হয়ে উঠতে হবে।

আধুনিক প্রযুক্তির যুগে কল সেন্টার বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজের বেকারত্ব দূরীকরণ ও আইসিটি সেক্টরের ব্যাপক প্রসার ঘটানোর সাথে সাথে দেশের সার্বিক অর্থনীতি ত্বরান্বিত করতে পারে। সর্বোপরি, কল সেন্টার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারে।

ট্রেনিংয়ের জন্য যোগাযোগ

আইসিটি, ১৩-বি, সেন্টার পয়েন্ট কনকর্ড (১৪ তলা), ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫।

জবস এ ওয়ান, রওশন টাওয়ার (৩য় তলা), ১৫২/২এ/২, গ্রীন রোড, পান্থপথ মোড়, ঢাকা-১২০৫।

3.অ্যানিমেশনে ক্যারিয়ার:

বর্তমানে অ্যানিমেশনের নামডাক খুবই শোনা যাচ্ছে। এটি একই সাথে যেমন সৃষ্টিশীল মানুষের পেশা, তেমনি উচ্চ আয়ের এবং সম্মানেরও। দেশে-বিদেশে সর্বত্রই অ্যানিমেশনের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। একজন দক্ষ অ্যানিমেটর হতে হলে আপনাকে যে বড় ডিগ্রিধারী হতে হবে তাও নয়। বরং এর জন্য দরকার হবে সৃজনশীলতার সাথে বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়। অ্যানিমেশন বিষয়টি যেমন সহজ, তেমনি আনন্দদায়ক.

আপনি যেকোনো ডিগ্রিধারী হোন না কেন, অ্যানিমেটর হতে হলে আপনার শুধু প্রয়োজন সৃজনশীল মানসিকতা, ধৈর্য, সাধনা, চেষ্টা এবং চিন্তাশক্তি।

বিশ্বজুড়ে অ্যানিমেশন

সারাবিশ্বে অ্যানিমেশন নিয়ে চলছে এখন তুমুল তোলপাড়। মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাজেটের সিনেমা, গেমস থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন, কার্টুন, লোগো কিনা তৈরি হচ্ছে অ্যানিমেশনে। টম অ্যান্ড জেরি, পাপাই, থান্ডার ক্যাটস, টারজান, আলাদিন, মিনা কার্টুনসহ বিশ্ববিখ্যাত হলিউড সিনেমা জুরাসিক পার্ক, টারমিনেটর সিরিজ কিংবা হালের অস্কার বিজয়ী শ্রেষ্ঠ ছবিগুলো অ্যানিমেশনেরই তৈরি।

পেশা হিসেবে অ্যানিমেশন

দেরিতে হলেও আমাদের দেশে এখন প্রচুর পরিমাণে অ্যানিমেশনের কাজ হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন অ্যানিমেশন প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি করছে আমাদের দেশীয় টিভি চ্যানেলে প্রচারিত বিভিন্ন বিজ্ঞাপনসহ আন্তর্জাতিক মানের অ্যানিমেটিভ ছবি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে হাজার হাজার অ্যানিমেশন ফার্ম থাকলেও আমাদের দেশে এখনো দক্ষ অ্যানিমেটরের অভাব রয়েছে। দেশীয় কাজগুলো ছাড়াও ইন্টারনেটে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে অজস্র কাজ। উন্নত দেশগুলোতে রয়েছে প্রচুর অ্যানিমেটরের চাহিদা।

আয়-রোজগার

দক্ষ অ্যানিমেটর হলে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব। তবে সাধারণত কোনো বিদেশী সংস্থায় কাজের সুযোগ করে নিলে প্রতি মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা উপার্জন করা যায় অনায়াসে। তাছাড়া ফ্রিল্যান্স কাজ করেও আয় করা সম্ভব।

কীভাবে ও কোথায় শিখবেন

মূলত থ্রিডি ম্যাক্স ও মায়া হলো প্রধান দুটি সফটওয়্যার যা দিয়ে অ্যানিমেশনের কাজ করা হয়। এই সফটওয়্যারগুলো এবং এ সংক্রান্ত মাল্টিমিডিয়া লার্নিং সিডিসহ বই কিনে আপনি ঘরে বসে কারো সহায়তায় বা নিজে নিজেই অ্যানিমেশনের কাজ শিখতে পারেন। তাছাড়া ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত এরিনা মাল্টিমিডিয়া, গ্লোব কিডস, সফটএজ লিঃ, পেন্টাসফট, ড্যাফোডিল, আপটেক অ্যারিনা, হাইটেক ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও আপনি অ্যানিমেটর হতে পারেন।

 

6.নিজেই করুন ক্যারিয়ার প্ল্যানিং:

বাংলাদেশে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চাকরির প্রতিযোগিতায় প্রতি বছরই প্রায় দুইলক্ষ শিক্ষিত তরুণ-তরুণী প্রবেশ করে চলেছে।

কিন্তু সেই সাথে চাকরি সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে না। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই

আগে যে পরিমাণ কাজ তিনজন ব্যক্তি করতো এখন একজন ব্যক্তিকেই সেই পরিমাণ কাজ করতে হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক চাকরির পদসংখ্যা কমছেই। কিন্তু তাই বলে যে আপনাকে হতাশ হতে হবে তা নয়। নিজেকে যোগ্য করে তুলুন প্রতিষ্ঠানের চাহিদানুযায়ী।

ক্যারিয়ার বিভাগে আমাদের কাছে প্রতিনিয়তই ফোন আসে অসংখ্য তরুণ-তরুণীর। কেউ কেউ হতাশাও ব্যক্ত করেন চাকরি না পেয়ে। হতাশা নয়, ধৈর্য সহকারে অর্জন করে নিন আপনার প্রয়োজনানুযায়ী চাকরি।
আমাদের দেশে এখনও চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে অনেকে শুধুমাত্র পত্রিকার উপর নির্ভর করে থাকে।

কিন্তু পরিবর্তিত আধুনিকতার স্পর্শে চাকরি খুজতে হলে শুধুমাত্র পত্রিকার উপর নির্ভর না করে সেই সাথে নিজেকে মানিয়ে নিন বেশকিছু পদ্ধতির সাথে।

জব সাইট

কম্পিউটারায়ণের এই যুগে সচেতন তরুণ-তরুণী মাত্রই কম্পিউটার ভিত্তিক অনলাইন জবসাইটগুলো নিয়মিত ভিজিট করা উচিত। এক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে, প্রযুক্তির উন্মেষ ঘটিয়ে বাংলাদেশে এখন চাকরির অনেক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়ে থাকে অনলাইন ভিত্তিক জব সাইটগুলোতে।

চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য থাকে কর্মমূল্যে যেন তাদের প্রতিষ্ঠানের চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যায়। এক্ষেত্রে অনলাইন জবসাইটগুলো তাদেরকে পত্রিকার তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছে।

তবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে থাকে, সেই সাথে অনলাইনের জব সাইটেও তাদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। আপনাকে চাকরি খুঁজে নিতে হলে নিজের আগ্রহেই চাকরির বিজ্ঞপ্তি খুজে নিতে হবে।

পরিচিত মাধ্যম

আমাদের দেশে চাকরির বিজ্ঞপ্তি অনেক সময়ই প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঘোষণা করা হয় না। কেননা, পদসংখ্যা কম থাকায় এবং আমাদের দেশে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা অত্যধিক থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে আগ্রহী হয়ে উঠে না। তবে এই বিষয়টি কেবল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে।
 
তাই আপনার উচিত হবে আপনার পরিচিত ব্যক্তিবর্গ যে সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে সে সব প্রতিষ্ঠানে একটি সিভি জমা রাখা। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হলে এবং তাদের কাঙ্খিত পদের বিপরীতে আপনাকে যোগ্য মনে করলে তারা অবশ্যই আপনাকে চাকরির ইন্টারভিউ এর জন্য মনোনিত করবে।

তবে এর মানে এই নয় যে, তারা আপনাকে চাকরির সুযোগ প্রদান করবে। প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যেই হলো স্বল্প সংখ্যক লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে যেন বেশি ঝামেলা পোহাতে না হয়। প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে মনোযোগী হউনঃ আমাদের দেশে অনেকের মধ্যেই বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে, যে কোন প্রতিষ্ঠানে যেকোন ধরনের চাকরিই তারজন্য যথেষ্ট।

কিন্তু এখানে একটি বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই তার পদের বিপরীতে যোগ্য বক্তিকেই মনোনয়ন দিয়ে থাকে। ফলে আপনাকে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার আলোকে কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে আপনার কাজ করার সুযোগ রয়েছে তা পূর্ব থেকেই স্থির করে নিতে হবে।

সেই সাথে সে সকল প্রতিষ্ঠানে আপনার কাঙ্খিত পদের বিপরীতে কি কি গুণাবলী প্রয়োজন হয়ে থাকে সেসব বিষয়ে ধারণা নেবার চেষ্টা করুন এবং সে অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করে নিন।

বাস্তবতা উপলব্ধি করুন

অনেকেই চাকরির বিজ্ঞপ্তি তে প্রতিষ্ঠানকর্তৃক প্রদেয় বিজ্ঞপ্তির সেরা পদসমূহে আবেদন করে থাকে। কিন্তু আপনি যদি সদ্য পড়ালেখার পাঠচুকিয়ে চাকরির আবেদন করে থাকেন তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে সেসব পদ সমূহে আপনার চেয়ে অনেক বেশি যোগ্য এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি চাকরির জন্য আবেদন করে থাকে।

ইন্টারভিউ লেটার পাবার ক্ষেত্রে আপনার থেকে তারা অনেকাংশেই এগিয়ে থাকে। ফলে বাস্তবতার নিরিখে নিজেকে মানিয়ে নিন এবং নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করে চাকরির আবেদন করুন। নিম্নযোগ্যতা সম্পন্ন পদে আবেদন করবেন নাঃ অনেকের মধ্যেই ধারণা রয়েছে, নিয়োগবিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত নিম্নযোগ্যতা সম্পন্ন পদে আবেদন করলে চাকরি নিশ্চিতভাবেই পাওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল।

কেননা, ইন্টারভিউ কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আপনার বায়োডাটা পড়ে উপলব্ধি করে থাকে যে, এই পদের বিপরীতে আপনার যোগ্যতা আনেক বেশি এবং অল্প কিছুদিন কাজ করার পরই আপনি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চলে যেতে পারনে। ফলে তারা আপনাকে আপনার আবেদিত পদের জন্য মনোনীত নাও করতে পারে।

অনাকাঙ্খিত আচরণ

ইন্টারভিউ বোর্ডে অনেকেই প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ এড়িয়ে অনাকাঙ্খিত আচরণ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে যা উপস্থিত কর্মকর্তাদের নিকট কোনমতেই কাম্য নয়। আপনার যোগ্যতার প্রতিফলন ঘটাতে এখন থেকেই পরিকল্পনামাফিক কাজ শুরু করুন।

পরিকল্পনার আলোকে অদূর ভবিষ্যতেই চাকরি নামক সোনার হরিণের পিছনে নিরন্তর ছুটে চলার অবসান ঘটবে নিঃসন্দেহে। পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে। ক্যারিয়ারে সফলতা আনয়নে আপনার পরিকল্পনাই আপনাকে পৌঁছে দেবে সাফল্যের স্বর্ণদূয়ারে।


 
NEED WAR
 
Foyez
 
একটা আকাশ সপে দিলাম
মেঘের কাছে আজ
কোথায় আমি পাবো এতো
কথার কারুকাজ।

কোন কথাটা বারে বারে
তোমায় দেবে নাড়া
কোন কথাতে পাবো আমি
বলো তোমার সাড়া।

কি দেখালে বলো তোমার
খুলবে জলের ভাঁজ
কোথায় আমি পবো এতো
কথার কারুকাজ।

আষাঢ় শ্রাবন খরায় কাটে
তোমার অভিমানে
তুমিই যে আজ জলের কনা
নেই বুঝি আর মনে।

ঝরো তুমি অঝোর ধারায়
শুকনো পাতার সাজ
একটা আকাশ সপে দিলাম
মেঘের কাছে আজ।
Need War
 
কেনরে তুই কথায় কথায়
মরিস এতো লাজে
মরুর বুকে ভীষন ক্ষরা
মন বসে না কাজে।

কথায় কথায় কেনরে তোর
এতা মধূর হাসি
হাসিতে তোর বেজে ওঠে
প্রেম-মধুর বাঁশি।

যখন তখন মগ্ন আমি
শুধু যে তোর মাঝে
মরুর বুকে ভীষন ক্ষরা
মন বসে না কাজে।


হঠাৎ হঠাৎ কেনরে তুই
থাকিস ভীষন রেগে
ঘুম কাতুরে এই আমিও
সময় কাটাই জেগে।

তোর অদেখায় দিনটা আমার
কাটে ভীষন বাজে
মরুর বুকে ভীষন ক্ষরা
মন বসে না কাজে।
Need War
 
একটু খানি স্নিগ্ধ আলো
জোৎসনা মাখা রাতে
চাঁদকে দেখি মেয়ে আমি
তোর রুপেরই সাথে

চাঁদকে বলি যা দূরে যা
চাঁদমেয়ে তুই থাক
হাত খানি তোর জ্বালতে আলো
এই ভূবনে রাখ

হাসরে মেয়ে, ভূবন জুড়ে
আলো ঝরুক তাতে
একটু খানি স্নিগ্ধ আলো
জোৎসনা মাখা রাতে
.......

মেঘকে ছুটি এই জীবনে
বলনা চাঁদের মেয়ে
মেঘ বিদায়ের পথে আছে
তোর পানে তাই চেয়ে

উপাসনার আলো জ্বলুক
চাঁদমেয়ে তোর সাথে
একটু খানি স্নিগ্ধ আলো
জোৎসনা মাখা রাতে
Need War
 
http://www.somewhereinblog.net/blog/foyez08
 
Today, there have been 5 visitors (6 hits) on this page!
Contact Email : ahammadfoyez@gmail.cm Cell- 01911 58 49 80 This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free